'উৎসব' নামের মধ্যেই এক খুশীর ঢেউ খেলে যায় মনের মধ্যে। উৎসব মানে আনন্দ, ভালোলাগা, সমৃদ্ধি। উৎসব মানে মনের মিল, প্রিয়জনের দেখা পাওয়া, সব কষ্ট ভুলে আনন্দে মেতে ওঠা। সবাইকে এক হওয়ার, কাছাকাছি আনার, দূরত্ব মেটাবার মাধ্যম হলো উৎসব। উৎসবে সবাই অশুভ সব মিটিয়ে শুভ কে আহ্বান করে নতুন পথ চলার অঙ্গীকার করে।
উৎসব মানেই বৈচিত্র্য যেখানে বিভিন্ন রং, ধর্ম, জাতি, দেশ সব মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়, নিজস্ব বৈশিষ্ট্যতা হারিয়ে এক নতুন সৃষ্টিতে সবাই যোগদান করে। প্রত্যেকে উৎসবের তার নিজস্ব মাহাত্ব আছে যা অন্য আর এক উৎসব থেকে তাকে আলাদা করে। প্রতিটি উৎসবের নিজস্ব ইতিহাস, আচার আচরণ, বৈশিষ্ট্য আছে যা একটি দেশের বা সমাজের সংস্কৃতির ধারক হিসাবে কাজ করে।
উৎসব মানেই স্মৃতি। বছর বছর একই উৎসব বিভিন্ন স্মৃতি তৈরী করে যা আগামী দিনে বেঁচে থাকার ভালো থাকার রসদ জোগায়। আবার কখনও বা অতীতের কোন বেদনাদায়ক ঘটনা দুঃখের স্মৃতি বহন করে আনে যা কষ্ট দেয়, পুরোনোকে মনে করায়। উৎসব মানেই ভালো খারাপ মিলিয়ে এক নতুন মেলবন্ধন যেখানে সবাই পুরোনোকে সঙ্গী করে নতুন ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যায়।
উৎসব একটা আবেগ যা সবার মধ্যে বিদ্যমান; কারণ এই উৎসবেই সবাই সারা বছরের ক্লান্তি দূর করে একে অপরের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠে। দৈনন্দিন জীবনের প্রতিযোগিতার চাপে হারিয়ে যাওয়া মানুষরা উৎসবের মধ্যে দিয়ে তৃপ্তির শ্বাস নেয়, নিজের অনুভূতিগুলো অনুভব করে, নিজের সাথে এবং সবার সঙ্গে সময় কাটাতে পারে। তাই হয়তো সারা বছর সবাই তাদের এই প্ৰিয় উৎসবের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে। উৎসব হলো সব ধার্মিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক মনোভাবের মিলনক্ষেত্র।
ঋতুপর্ণা বসাক