জীবনের মূল মন্ত্রই হল এগিয়ে চলা। তাই সবাই শুধু সামনের দিকে এগিয়ে চলে - ছোট থেকে বড়, স্কুল থেকে কলেজ, কলেজ থেকে ইউনিভার্সিটি, তারপর কর্মক্ষেত্র। সর্বক্ষেত্রেই শুধু এগিয়ে চলেছে এবং এই এগিয়ে চলার পথে সামনের মাইলস্টোন প্রাপ্তির পেছনে ফেলে আসা মাইলস্টোনের ভূমিকা অপরিসীম। তাই তার ওপর একটা টান বা ভালোবাসা থেকেই যায় যেটা কোনভাবেই কাটানো যায় না।
ইচ্ছে করলেই তো আর সেই পেছনে ফেরা যায় না, কিন্তু তার প্রতি যে আত্মিক টানটা তৈরী হয়ে যায় সেটা কোনভাবেই অস্বীকার করা যায় না। একটা মনখারাপের পরশ রয়েই যায়। পুরোনোকে পেছনে ফেলে এক নতুন পথের দিকে এগিয়ে যাওয়ায় পুরোনোর বিরহে কাতর হবে, না কি নতুনটাকে আলিঙ্গন করে নেওয়ার সুখে মশগুল হবে তা বুঝে ওঠাটাই যেন একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এই মিশ্র অনুভূতিটা একদিকে যেমন আনন্দের অন্যদিকে তেমনি দুঃখের।
জীবনের এই মোড়গুলো বড় অদ্ভুত। একদিকে নতুনকে আবিষ্কার করার প্রবল উত্তেজনা অন্যদিকে পুরোনোকে ছেড়ে আসার চাপা কষ্ট, একদিকে নতুনকে জানার খানিকটা ভয়, কৌতূহল অন্যদিকে পুরোনোর প্রতি গভীর মায়া ও টান। জীবনের এই মোড়ে দাঁড়িয়ে নিজেকে বড্ড অসহায় মনে হয়।
সুখের সমান্তরালে এক ধরণের বিষন্নতা কাজ করে এই সময়। এতদিন একসাথে কাটিয়ে আসা সব হঠাৎ করে পর হয়ে যায়। আবার যা কোনদিনও কল্পনা করা হয়নি সেগুলোকে হঠাৎ করে মেনে নিতে হয়। খুব দোটানায় ভুগতে হয় এই সময়টা। একদিকে দূরকে কাছে পাওয়ার জয় তো অন্যদিকে নিকটকে দূরে করার পরাজয়। হায় রে, কি বিচিত্র এই জীবন!
এই দোলাচল থেকে মুক্তির উপায় হল নিজের চিন্তাধারা, অনুভূতিগুলোকে একটু অন্য ভাবে দেখা। কোথাও থামা যায় না কারণ এগিয়ে চলাই জীবন। পুরোনোটা কোথাও যায় না, সেটা সাথেই থাকে, শুধু একটা নতুন আপন করে নেয়। পুরোনোর স্মৃতি, অভিজ্ঞতাগুলোর সঙ্গে নতুন আরও অনেক স্মৃতি তৈরী হয়, অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়। এগিয়ে চলার পথে নিজেদের সর্বাঙ্গীন উন্নতির জন্য প্রায়শই পুরোনোগুলোকে কালের নিয়মে বিসর্জন দিয়ে হাসিমুখে অনেক নতুনকিছু মেনে নিতে হয়, বলা ভালো মানিয়ে নিতে হয়।
ঋতুপর্ণা বসাক
Khub chena manush gulo sotru hoye utleo vlobasa tader proti komena bissaso kora jayna ..na para jay otitk rakhte na sahos hoy notunk welcome janate
ReplyDeletetao egiye jete hoi
Delete❤️👌👌👌👌🙏🙏
ReplyDelete🙏
Delete