মন বড় অদ্ভুত এক সৃষ্টি যা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে প্রকাশিত হয়। কখনও রাগ, কখনও দুঃখ, আবার কখনও ভালোবাসা, আনন্দ - মনের এই বিভিন্ন ভাব পরিবেশ ও পরিস্থিতির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত হয়।
মনের এই ভাবের পেছনে বিজ্ঞানীরা হয়তো বিভিন্ন জীবতত্ত্বের ব্যাখা দিয়েছেন; কিন্তু কবি সাহিত্যিকদের দৃষ্টিতে সেগুলো বিভিন্ন অনুভূতির প্রকাশ হয়ে ধরা দিয়েছে। এইসব অনুভূতি লাল, নীল, গোলাপি, সবুজ, কালো ইত্যাদি বিভিন্ন রঙের মাধ্যমে চিত্রিত হয়েছে। একই ভাব একই সময়ে ভিন্ন ভাবে ভিন্ন লোকের কাছে ধরা পড়েছে - কারও কাছে ভালোবাসা তো কারও কাছে ভালোলাগা, আবার কারও কাছে বিরহ।
প্রত্যেকেরই মন আছে আর তার সাথে আছে সেই মনের বিভিন্ন অনুভূতি। জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতে সৃষ্ট সেই অনুভূতিগুলি প্রত্যেকেই অনুভব করে এবং বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন জনের কাছে তা প্রকাশ করে। কারও কাছে ভালোবাসা, আনন্দ, কৃতজ্ঞতা আবার কারও কাছে রাগ, ঘৃণা, ভয় - বিভিন্ন রূপে এরা প্রকাশিত হয় যা সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে সেই সময়ের পরিবেশ, পরিস্থিতি এবং ব্যক্তিবর্গের ওপর।
একজনের মন যদি আর একজনের মনের সাথে মিল খুঁজে পায় তবে ভবিষ্যতেও সেই মনের সঙ্গে ভাবের আদানপ্রদান করে। আর যদি অন্য মনের সাথে মিল খুঁজে না পায় তবে সেই সম্পর্ক ক্ষণস্থায়ী হয় সেই মন এই মনের ভাবের ভার বহনে অক্ষম। সবাই ভার কমাতে চায়, বইতে বা বাড়াতে নয়। এক ভাব কমলে বা দূর হলে তবেই অন্য ভাবের উদয় হয়।
একজন মানুষ যখন তার মনের ভাবের ভারে বিহ্বল হয়ে পড়ে সে সেই ভাবের ভার কমানোর জন্য অন্য কাউকে খোঁজে এবং তাকে সেটা দিয়ে দেয়। একজনের মন আরেকজনের মনের ভাবের রঙে রাঙায়িত হয়ে কখনও আনন্দে মেতে ওঠে, কখনও দুঃখে কেঁদে ওঠে, আবার কখনও রাগে গর্জন করে ওঠে। প্রতিনিয়ত এক মন তার ভাব প্রকাশের জন্য আর এক মনকে খুঁজে চলেছে।
ঋতুপর্ণা বসাক