Saturday, January 11, 2025

জীবন হাস্যরস

 


জীবনে এমন অনেক পরিস্থিতি তৈরী হয় যা আমাদের কাছে অপ্রীতিকর এবং অনাকাঙ্খিত। কোন ভাবে কোন অবস্থাতেই হয়তো এরজন্য আমরা তৈরী ছিলাম না। কিন্তু এদেরকে এড়িয়ে বা বাদ দিয়ে আমরা এগোতেও পারবো না। জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ এরা যেমন শরীরের কোন অংশকে বাদ দিয়ে কিছু হয় না। তাই নিরুপায় হয়ে এই পরিস্থিতিগুলোর মধ্যে দিয়ে আমাদের যেতে হয়।

ঘটনাবহুল এই পরিস্থিতিগুলো আমাদের শারীরিক, মানসিক, জৈবিক সবাই ক্ষেত্রেই এক অন্যরকম সংবেদন শক্তির সঞ্চার ঘটায়। তাই এই পরিস্থিতির সবকিছু গম্ভীর ভাবে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু ব্যাপার খানিকটা হালকা ভাবে নেওয়ার অভ্যেসটা ওই পরিস্থিতির মধ্যে টিকে থাকাটাকে কিছুটা সহজতর করে দেয়। তবে বেপরোয়া হওয়াটাও ঠিক নয়।

সব ব্যাপারে গুরুগম্ভীর হয়ে থাকলে পরিস্থিতিটা আরও বেশী প্রতিকূল হয়ে ওঠে। তাতে আশেপাশের সম্পর্কগুলোও প্রভাবিত হয় যার প্রভাব সবার জীবনেই পড়ে। অনেক জ্ঞান, অভিজ্ঞতার সঙ্গে হাস্যরস মিশিয়ে পরিস্থিতিগুলোর মোকাবিলা করার অভ্যেসটা আত্মবিশ্বাস অনেকটা বাড়িয়ে দেয় এবং আত্মউন্নয়নের রাস্তা করে দেয় যা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে অনেক বড় সাহায্য করে।

ওই ঘটনাবহুল পরিস্থিতিগুলো একেবারে দমকা হাওয়ার সঙ্গে অযাচিত ভাবে মিশে আসা কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, আমোনিয়া এই সব বিষাক্ত গ্যাসের মতো যা আমাদের দমবন্ধ অবস্থায় ফেলে দেয়। সেখানে হাস্যরস মিশিয়ে নেওয়ার অভ্যাসটা শুষ্ক ভূমিতে এক পশলা বৃষ্টির মতো আমাদের জীবনে এক পশলা বিশুদ্ধ অক্সিজেনের ভূমিকা পালন করে। আর এই অভ্যাসটা সেই ভয়ানক পরিস্থিতির ভয়াবহতা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি দেওয়ার প্রয়াস করে


ঋতুপর্ণা বসাক

শ্রোতা ও বক্তা

  শ্রোতা ও বক্তা শব্দ দুটো নিজেরাই নামের মধ্যে নিজেদের চারিত্রিক গুণাবলী বর্ণনা করে দেয়। একজন বলে একজন শোনে। যে বলে সে বক্তা, আর যে শোনে সে ...

Popular Posts